-শিক্ষাই সম্পদ-

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন প্রকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রতিষ্ঠানরে মূল লক্ষ্য।

-সৃজনশীল শিক্ষা-

প্রতিটি শিশুই অসম্ভব প্রতিভা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। সৃজনশীল শিক্ষাই পারে কেবল শিশুর সেই প্রতিভাকে প্রকাশ করবার পথ তৈরি করতে। শিক্ষার্থীকে তার প্রতিভা প্রকাশের ক্ষেত্র তৈরি করাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান কাজ। অত্র প্রতিষ্ঠান বরাবরই এ বিষয়ে বিশেষ আন্তরিক।

-প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা-

বর্তমান বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আমাদের রয়েছে একটি উন্নত মানের কম্পিউটার ল্যাব, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে স্কুল লেভেল থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা কম্পিউটার সম্পর্কিত দক্ষতা অর্জন করছে।

-সহশিক্ষা কার্যক্রম-

কেবলমাত্র পুথিঁগত শিক্ষাই আজকের দিনের শিক্ষার্থীর জন্য যথেষ্ট নয়। শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি বিতর্ক, সাংস্কৃতিক, নাট্যাভিনয়, ক্রীড়া ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য লেখালেখির চর্চা ইত্যাদি মেধা বিকাশে সহায়ক ক্ষেত্রগুলো একজন শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত জরুরী। আমাদের বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীর সেই সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ।

-নারী শিক্ষা-

এক বিংশ শতাব্দিতে নারী শিক্ষাকে অবজ্ঞা করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উন্নয়ন এক প্রকার অসম্ভব। তাই নারী শিক্ষার প্রসারে আমাদের বিদ্যালয় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যে কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা সর্বদাই তুলনামূলকভাবে ছাত্রদের চেয়ে বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, আমরা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ উৎসাহ ও সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

-নিরাপত্তা

শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ও বিশেষ বিশেষ জায়গায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষা জীবন আমাদের একান্ত কাম্য।